দেহের সিমেট্রিতে নিহিত প্রেম - অপ্রেম

 






" দেহের সিমেট্রিতে নিহিত প্রেম - অপ্রেম "

[ পোস্টটা বেশ বড় তবে এর মান " বিফলে মূল্য ফেরত" ক্যাটাগরি এর ]

আমার আগ্রহ সবসময় সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম বিষয় নিয়ে। যেমন বিবর্তন সম্পর্কে অনেক পড়াশোনা করা মানুষও দেখা যায় Evolution of facial / body symmetry এর ব্যাপারে সম্পূর্ণ অজ্ঞ। যাইহোক সেই আলাপ আরেকদিন করবো। আজকে সিমেট্রি এর কার্যকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।

সিমেট্রিঃ-

সকল প্রজাতির প্রাণীর দেহকে সুন্দরভাবে ও নানান অনুপাতে ভাগ করা যায়। যেমন মানুষের দুই হাত, দুই পা একদম আইডেন্টিটিকাল। এর ফলে দেখা যায় প্রায় সমান সমান দুইভাগে ভাগ করা যায়। আজকের বিষয়, যৌনতায় এর প্রভাব কিরকম। যৌনতায় এর প্রভাব থাকতে বাধ্য কারণ বিবর্তনে যা একটি প্রাণীর রিপ্রডাক্টিভ সাকসেস আনবে না, তা বিবর্তন কখনো গ্রহণ করবে না, যদি না তা কয়েকটি এডাপটেশনের বাইপ্রোডাক্ট হয়ে থাকে।

কাউকে ভালো লাগার বিষয়ে এটা আমাদের সবচেয়ে রহস্যজনক কারণ। যৌনতার সাথে এর সম্পর্ক অতি সদ্য আবিষ্কার। ইভোলুশনারি বায়োলজিস্ট রেনডি থর্নহিল এটাকে আরো সমৃদ্ধ করছেন। এই ক্ষেত্রে কাউকে ভালো লাগার , না ভালো লাগার, পরকীয়া করার কারণগুলো চেতন মনে প্রত্যক্ষ করা যায় না, এগুলো থাকে গুপ্ত। তবে এটার উদ্দেশ্যও সবচেয়ে ভালো জিনকে নিজের শিশুর মধ্যে সঞ্চালন করা। সহজভাবে বুঝাই।

যেসকল পুরুষ ও নারীর দেহ বেশি সিমেট্রিক, মানে প্রায় সমান সমান ভাগে বিভক্ত, এরাই সবচেয়ে সুস্থ স্বাভাবিক ও সম্ভাবনা সম্পন্ন নর নারী। কেনো? জিনের প্রোগ্রামিং কোনো বিশেষ জটিলতা না থাকলে সব সময় তা নিখুঁত আকৃতির দেহের বিকাশ ঘটায়। তবে বয়সের সাথে অন্যান্য কারণে আমাদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ একটু ছোট বড় হয়ে যায়। যেমন, একপাশের চোয়াল, এক হাত, এক পা বেশি ব্যবহার করলে আকৃতির পার্থক্য দেখা যায়। কিন্তু জিনে বিশেষ জটিলতা থাকে দেখা যায়, যেমন Hemihyperplasia, তখন দেখা যায় এমনি এমনি আকৃতি বাকা হয়ে যাচ্ছে ( Fluctuating asymmetry)।

যৌনতার রহস্যঃ-

এখন বিষয়টা যৌনতার সাথে খুঁটিয়ে দেখা যাক। স্বামীর দেহে প্রচুর শক্তি ও তার ব্যাংকে প্রচুর টাকা থাকলেও দেখা যায় কিছু নারীরা, মাঝেমধ্যে, বোকার মত অনেক নিম্নবিত্ত পরিবারের, অনেক কমবয়সী ছেলের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে যায়। এটা খারাপ লাগলে অন্য উদাহরণ দেই। আর্থসামাজিক সম্পন্ন ছেলেকে ছেড়ে অনেক মেয়ে বিশেষ ছেলের জন্য পাগল হয়ে থাকে। সবসময় কিন্তু এটা হয় না, যদিও তা সিনেমাতে সুলভ। সিমেট্রি বিষয়টা অনেকগুলো ধাপের পরে আসে। এজন্য দেখা যায় এরকম বোকা/ চতুর মানুষ কম পাওয়া যায়।

পুরুষরাও দেখা যায়, তার প্রেস্টিস বিসর্জন দিয়ে, রাজকন্যাকে বিয়ে না করে, দাস দাসীর প্রেমে পাগল। এত রাজকীয় নারী থাকতেও সিন্ড্রেলা কেই তার চাই! হারুকি মুরাকামি এর " মেন উইট আউট ওমেন " এর গল্পগুলোতে এর একটা মানসিকতা পাওয়া যায়। স্বামী তার স্ত্রীর মৃত্যুর পর, সেই কমবয়সী পুরুষের সাথে বন্ধুত্ব করে, স্রেফ এটা জানতে, তার মধ্যে কিসের অভাব ছিলো যে, তার স্ত্রী পরকীয়া করেছে ! জিন জিনিসটা নটোরিয়াসলি কমপ্লেক্স। বিদেশি নারীকে দেখলেই যে, বাঙালি পুরুষের মধ্য মধু সঞ্চালন হয়, এটার কারণও এটা দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। আবার অনেক নারীকে দেখে পুরুষ আকর্ষণ বোধ করে না তাও এটা দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব।

এটা যেহেতু জটিল ও ভাবার বিষয় তাই এটা বিস্তারিত আলোচনা করতে চাই। সিমেট্রি কোথায় কোথায় কাজ করে তা নিখুঁতভাবে ঘেটে দেখা যাক। তার আগে বলে রাখি, একদম সম্পূর্ণ সিমেট্রি যেমন, নারীর দুই স্তনের সমান আকৃতি, চেহারার দুই অংশের সমান আকৃতি ইত্যাদি পাওয়া যায় না। বরং পাওয়া গেলে তা কার্টুন বা পুতুলের মত মনে হয়। আমাদের নিকটতম সিমেট্রি নিয়েই কাজ করা লাগে। আমাদের আকর্ষণও কাজ করে নিকটতম সিমেট্রির প্রতি। এখন এই সিমেট্রিক নর নারীকে/ পুরুষকে কোন কারণে আকর্ষণীয় লাগে তা দেখা যাক।

i) ফেসিয়াল বা মুখের সিমেট্রিঃ-

এটার গুরুত্ব দেহের, স্তনের ও নিতম্বের সিমেট্রি এর চেয়ে কম। তবে মুখের আকৃতিতে নারীত্ব ও পুরুষত্বের বেশ ভালোই পরিচয় পাওয়া যায়। এজন্যই সবার চেহারা আমাদের কাছে আকর্ষণীয় মনে হয় না। কোনো এক নারীরা সুন্দর চেহারা থাকা মানে সে খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে ভালোবাসে ও তার বয়স কম। বয়স বাড়লেই চেহারার আকৃতি অসম হয়ে যায় বা সিমেট্রিক থেকো এসিমিট্রিক হয়ে যায়। ইহা এটাও ইঙ্গিত করে যে, তার লাইফ স্টাইল, হাইজিন ও ঘুমের সময়সূচি বেশ ভালো। যারা উশৃংখল জীবন যাপন করে— হোক সে নারী বা পুরুষ—তার প্রভাব সবার আগে ফুটে উঠে তার চেহারায়।

অনেকে অভিযোগ করে যে, কালো মেয়েদের ছেলেরা পছন্দ করে না। এটা সম্পূর্ণ বাজে কথা। কোনো নারী জন্মগত ভাবে শ্যামলা হলে সেও পুরুষের কাছে আকর্ষণীয়। কিন্তু কোনো নারী যদি জন্ম থেকে ফর্সা রঙের হয় তবে ত্বকের যত্ন না নিয়ে, আগুন ও রোদের তাপে " ছাই মাখা কালো " রঙের মুখ বানায়, তাহলে তো পুরুষরা আকর্ষণ বোধ করবে না এটাই স্বাভাবিক। ম্যামালদের মধ্যে মানব পুরুষদের একটা বিশেষ চাহিদা হচ্ছে সে ভালোবাসা পেতে চায়। এটা খানিকটা কালচারাল লার্নিং আর পুরোটাই বিবর্তনের ফসল। তাই শৌখিন নারীদের প্রতি পুরুষদের বিশেষ টান কাজ করে কারণ সেই নারী কাম ও প্রেমের পরম নিবাস।

আমাদের মধ্যে অনেকে প্রেমিক / প্রেমিক / জাস্ট ফ্রেন্ডের হাতের আকৃতি ভালোবাসি। নখের আকৃতি ভালোবাসি। দেহের উত্তাপ নিতে ভালোবাসি। বিশেষ করে ছেলেরা মেয়েদের হাত ধরে স্বর্গের রাজ্যে চলে যায়। এতে আপত্তি নেই। তবে ঘটনাটা বিবর্তনের ক্ষেত্রে ভেবে দেখলে এটা রোগ নির্ণয় ও কামক্রীড়ার অংশে পড়ে। যৌনমিলনে যাওয়ার আগে পরীক্ষা করে নেয়া যেটা বলে। চুমুর মাধ্যমে আমরা একটা বিশ্বস্ততা গড়ে তুলি। এসকল ছোটো ছোটো বিষয় বিবাহের পর আর থাকে না। কারণ যা জানার সব বিবাহের পর, দিনশেষে জানা হয়ে যায়।

ii) ব্রেস্ট বা স্তনের সিমেট্রিঃ-

যদিও স্তন একটা সেকেন্ডারি সেক্সুয়াল কেরেক্টার— মানে এর সাথে একদম সরাসরি শিশুর সম্পর্ক নেই— তাও পুরুষ এটার গুরুত্ব দেয়। পুরুষ একজন নারীর মুখ, দেহ, স্তন দেখেই অনুমান করে যে নারীর বয়স কেমন। আধুনিক যুগে ব্রা এর ব্যবহার নারীরা দীর্ঘদিন তাদের স্তনের যৌবনা ধরে রাখতে সক্ষম হয়। একটা পুষ্ট স্তন এটা ইঙ্গিত করে যে, নারী তার যৌবনের শুরুতে। আর যৌবনের শুরুতে হওয়া মানে সে অনেক বছর ধরে অনেক বেশি সন্তান দিতে পারবে।

স্তান জিনিসটা নারীদের সবচেয়ে ক্ষণস্থায়ী সৌন্দর্য। ৩০ এর আগেই এর বিপর্যয় শুরু হয়। এ বিপর্যয় হওয়ার ফলে স্তন ঝুলে যায় ও একটা আরেকটার চেয়ে বড় ছোটো হয়ে যায়। মানে বাইলেটারাল সিমেট্রি হারিয়ে ফেলে। অর্ধেকের চেয়েও বেশি নারীর মধ্যে এটা দেখা যায়। অনেক বাড়তি নারীর মধ্যে এটা ক্ষণিকের জন্য দেখা যেতে পারে যা ঠিক হয়ে যাবে। অনেক পুরুষেরও ম্যান বুবস হয় বয়ঃসন্ধি কালে। আমিও তার শিকার। এরকমটা দেখা দিলে সকল নারীর উচিত ডাক্তার দেখানো। নাহলে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ভয় থাকতে পারে।

যাইহোক, নারীর একটা পুষ্ট স্তন ইঙ্গিত দেয় যে, সে স্বাস্থ্যের অধিকারী। এজন্য পুরুষরা সবসময় কৌমার্য সম্পন্ন ও নমনীয় স্তন খুঁজে বেড়ায় আর নারীরা পুরুষদের আকর্ষণ দীর্ঘদিন ধরে রাখতে স্তনের অপরিসীম যত্ন নেয়। খুবই অদ্ভুত এক বিষয় এটা। স্তনের ছোটো বড়ো হওয়ার সাথে শিশু লালন পালনের কোনো— কোনো — অবদান নেই বলে এটা গৌণ সেক্সুয়াল কেরেকটার। এটা স্রেফ যৌবনার ইঙ্গিত। স্রেফ নারীর উর্বরতা, কামিনীসুলভতা ও অনন্ত শিথিলতার প্রতীক। অনেক পুরুষ এজন্যই স্তনের প্রতি খুব একটা ঝুঁকে থাকে না। নারীরা পুরুষের বয়সের দিকে গুরুত্ব কম দেয়। Every adaptation is after-all a tradeoff!

iii) ভোকালঃ-

কোনো কোনো নারীর কণ্ঠ শুনলে পুরুষের লোম দাড়িয়ে যায়। কোনো কোনো পুরুষের কণ্ঠ শুনলেই নারীদের হাঁটুতে সুরসুরি শুরু হয়ে যায়। এটার মাধ্যমেও নারীর বয়স, তার সোসিয়াল স্টাটাস ও তার পারিবারিক মর্যাদা বোঝা যায়। পুরুষদের কন্ঠেও তার সামাজিক প্রতিপত্তি লক্ষ্য করা যায়। এর সাথে ভাষারও একটা সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব। যে পুরুষ ও নারী শুদ্ধ ও স্পষ্ট ভাষায় কথা বলে সে নিঃসন্দেহে একজন শিক্ষিত ও ভালো প্রতিপত্তি সম্পন্ন পরিবারের থেকে আগত। এভাবে আমরা ভালো সঙ্গী নির্বাচন করি।

এখানে আরেকটা বিষয় যোগ করতে চাই। শিল্পকলা, উচ্চশিক্ষা এবং খারাপ লাগলেও চিকিৎসা জিনিসটা সবসময়ই উচ্চবিত্ত মানুষের প্রয়োজন ও শৌখিনতা। পুরুষরা দেখা যায়, ভালো গান গায় ও অনেক ইন্সট্রুমেন্ট বাজাতে পারে এমন নারীর প্রতি ঝুঁকে থাকে। এর গূঢ় কারণ এই যে, ইহা সেই নারীর মূল্য নির্ধারণ করে। আর পুরুষরা স্বাভাবিকভাবে লম্পট টাইপ হলেও সে এমন নারীকে আগে জয় করতে চায় যে তার একটা অর্জন বা ট্রফি হয়ে থাকবে।

বিবাহ প্রথার বিবর্তনে নারীর স্বাধীনতা হরণ হয়নি, হয়েছে পুরুষের। নারীদের হয় ঐতিহাসিক মহাপরাজয়। যেহেতু এখন পুরুষকে নিতে হয় সীমিত নারী, তাই সে বাছাই করে সবচেয়ে দুর্জ্ঞেয় নারী! নারীরাও শৌখিন পুরুষদের চায় কারণ সেই পুরুষ অত্যন্ত প্যাশনেট ও উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। পুরুষদের কাছে প্যাশন জিনিসটা ভোগ্যপণ্য কিন্তু নারীরা আসলেই প্যাশনের পাগল। এটার সহজ উদাহরণ এই যে, " বুক ভরা ভালোবাসা থাকলে কি লাভ যদি তা দেখাতেই না পারো! " আরো ভালো উদাহরণ, স্বামীর টাকা থাকলেই হবে না, তা তাকে দিতে হবে।

iv) নিতম্বের সিমেট্রিঃ-

বয়ঃসন্ধি এর আগ পর্যন্ত বালক ও বালিকার কোমড়ের সাথে নিতম্বের অনুপাত সমান থাকে। বয়ঃসন্ধির আগে প্রায় সবই এক থাকে। তবে বয়স বাড়লেই তার পার্থক্য দেখা যায়। যে কোমড় ও নিতম্বের অনুপাত নারীদের মধ্যে সকল পুরুষ কমবেশি আকাঙ্ক্ষা করে তা হচ্ছে, কোমরঃ নিতম্ব= ০.৬৫ঃ ১ থেকে ০.৮০ঃ ১। এটা একটা নারীর ম্যাচুরিটি, লাবণ্যতা ও ঊর্বরতা প্রকাশ করে। এই অনুপাত খুব বেশি হের ফের হলে পুরুষরা আকর্ষণ বোধ করে না। আকর্ষণ বোধ না করার পেছনে কারণ এই যে, বেশি রুগ্ন ও বেশি মোটা নারীরা প্রসব দেয়া সময় স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখোমুখি হয়।

বেশি মোটা ও রুগ্ন নারীদের এজন্য ডাক্তার সন্তান নিতে না বলে। বেশি রুগ্ন ও মোটা হলে মেসকেরিয়েজ থেকে শুরু করে কার্ডিয়াক ডিস্ফাংশন হতে পারে। এখন যদিও সিজারিয়ান পদ্ধতির ফলে ঝুঁকি একদম নেই বললেই চলে। কিন্তু আমাদের সাইকোলজি সেই অরণ্যের পর্যায়ে রয়ে গেছে, যে যুগে মেডিক্যাল সাইন্সের অভাবে সাইভাইবাল অফ দি ফিটেস্ট নীতিটা আরো অতন্দ্র ও জীবন্ত ছিলো।

মেয়েরাও পুরুষদের কোমড় ও পাছা পর্যবেক্ষণ করে। এটারো অনুপাত আছে। কোমড়ঃ নিতম্ব =০.৮৫ঃ১ থেকে ০.৯৫ঃ১। এটার কারণ এই যে, ইহা পুরুষের এথলেটিক পারদর্শীতা প্রকাশ করে যা বিবর্তন লুফে নিছে।

যেদিন থেকে হমোনয়েডরা দাড়াতে শুরু করলো সেদিন থেকেই বড় বড় সম্ভাবনা, জয় পরাজয়ের গল্প রচিত হলো। অনেকে ভাবে যে, মানুষ ব্যতীত অন্য কোনো প্রাণীর ধর্মীয় অনুভূতি নেই, যা ভুল একটা ধারণা। মানুষ কবে নিজের মৃত্যু আবিষ্কার করেছে জানেন?

যাইহোক, এরকম আরো নানা বিষয় আছে। আশা করি আমরা বিষয়টা বুঝতে পেরেছি যে, কি করে সিমেট্রি কাজ করে। তো মজার বিষয় হচ্ছে, এসকল জিনিস যদি একত্রিতভাবে বাসার কোনো দাসীর মধ্যে থাকে তাহলে রাজকন্যাকে বাদ দিয়ে তাকেই এক পুরুষ বিবাহ করতে চাবে। এখানেও একটা জিনিস বলে রাখি। আমরা কিন্তু এটা মানি যে, অনেক মানুষ অনেক দুর্ঘটনা ও দুর্ভাগ্যের কারণে তার ন্যায্য স্থান পায় না। বিষয়টা এরকমই। এত সুন্দর, পুষ্ট স্তন সম্পন্ন, আত্মপ্রত্যয়ী ও শৌখিন নারী সাধারনত দাসী গোত্রে পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলে অবশ্যই বিবর্তনের দৃষ্টিতে তার মূল্য আছে। সে রাজার খাস দাসী হয়ে যাবে। ইহা পরকীয়া এর বড় চালিকা শক্তি।

No comments:

Post a Comment

Pages